অপরকলপত সথপনয পঞচগড দই গরম পরবর পনবনদ
জলাবদ্ধতার বিষয়ে প্রশাসনসহ পৌর সভায় অবগত করা হলেও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন পানিবন্দী সাধারণ মানুষজন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হঠাৎপাড়া সড়কের একটি কালভার্টের দক্ষিণে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ও দুই এলাকায় নিচু জমিতে বাড়ি ঘর গড়ে ওঠায় বর্ষার পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে রাস্তাঘাট ও বাড়িতে হাটুর ওপরে পানি উঠেছে।
হঠাৎপাড়া এলাকার মোমিনুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, কেউ কালভার্টের মুখের সামনে দেয়াল নির্মাণ করেছেন। আবার কেউ বাড়িঘর করে পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করেছেন। বিষয়টি পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি। এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ শ্রমজীবী। তারা আয় রোজগার করবে, নাকি এসবের পেছনে দৌড়াবে?’
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত উত্তরের হাওড়াঞ্চল
রৌশন আরা বেগম সময় সংবাদকে বলেন, ঘরের মধ্যে পানি ঢোকায় রান্নাবান্না করতে পারছি না। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাতে পোকামাকড়ের ভয়ে ঘুমাতে পারি না। পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর সবাইকে বলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
বলেয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাই সময় সংবাদকে বলেন, ঈদের আগ থেকে আমরা পানিবন্দী। সবাই এসে আশ্বাস দিচ্ছে, বাস্তবে কোন পরিকল্পনা বা কাজ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা ছোট শিশু সন্তানদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি।
হাজেরা বানু নামে আরেক নারী সময় সংবাদকে বলেন, সব সময় ভয়ে দিন যাপন করি। পানিতে কখন কি দুর্ঘটনা ঘটে। এ দিকে ভয়ের সঙ্গে পেটের ক্ষুদাও রয়েছে।
এদিকে পঞ্চগড় পৌরসভার হঠাৎপাড়ায় কালভার্টের পাশে জমিতে সীমানাপ্রাচীর স্থাপন করে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে রাখায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজেই সীমানাপ্রাচীর ভেঙে দেন পঞ্চগড় পৌর মেয়র। এতে করে পানির চাপ কমে কিছুটা দুর্ভোগ লাঘবের আশা করছেন তিনি।
পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন সময় সংবাদকে বলেন, নিম্নাঞ্চলের চাষাবাদের জমিতে বসত বাড়ি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। একই সাথে অপরিকল্পিতভাবে এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা করায় এ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। জলাবদ্ধতা রুখতে ও দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত দুটি বড় ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের লোকালয় প্লাবিত
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুল হক সময় সংবাদকে বলেন, ইতোমধ্যে ওইসব এলাকা পরিদর্শন করে মানুষের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। দুর্ভোগ না কমা পর্যন্ত পানিবন্দী মানুষের পাশে থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে শহরের পৌর এলাকার কামাতপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার নিচু স্থানেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/dXfOj1S
via IFTTT
Comments
Post a Comment