জপরঝয় পরমণবক বদযৎকনদর উড়য় দত চয় রশয় দব জলনসকর

রাশিয়া ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়াকে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনী বর্তমানে খুব খারাপ অবস্থানে থাকায় পরিস্থিতি বদলে দিতে রাশিয়া এমনটি করতে পারে। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।

 

রোববার (৯ জুলাই) এ সাক্ষাৎকারে জাপোরিঝিয়াকে ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা যখন বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে বসি তখন কী এমনটা ভাবতে পারি যে, রাশিয়া ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য স্থানীয় বিস্ফোরণের কথা পরিকল্পনা করছে? এর উত্তর হলো হ্যাঁ, আমরা ভাবতে পারি।’  

 

ইউক্রেনে রাশিয়ার অবস্থানকে ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেন, ‘তারা বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে রয়েছে আগামী দিনে তার চেয়ে বেশি হারানোর আশঙ্কা করে থাকে তবে তারা অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু পদক্ষেপ নেবে। তার মধ্যে একটি হলো বিশ্বকে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখানো (জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিস্ফোরণের মাধ্যমে) যাতে তাদের রণক্ষেত্রে আর লড়তে না হয়।’

 

এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একইদিনে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘ক্ষতির পদ্ধতিগত চক্রের’ মধ্যেই রয়েছে। রুশরা সতর্ক করে বলেছে, যেকোনো সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিস্ফোরিত হতে পারে এবং ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ জাপোরিঝিয়ায় যেকোনো বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত।

 

আরও পড়ুন: ক্লাস্টার বোমা রাশিয়ায় ব্যবহার করা হবে কি না, জানাল ইউক্রেন

 

এদিকে শনিবার (৮ জুলাই) রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত কৃষ্ণসাগরের স্নেক আইল্যান্ড পরিদর্শন করেছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেন যুদ্ধের ৫০০তম দিনে স্নেক আইল্যান্ড পরিদর্শনে যান তিনি।

 

শুক্রবার (৭ জুলাই) তুরস্ক সফরে যান জেলেনস্কি। রাজধানী আঙ্কারায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে তিনি স্নেক আইল্যান্ডে যান বলে মনে করে হচ্ছে। শনিবার (৮ জুলাই) একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন জেলেনস্কি। তাতে স্নেক আইল্যান্ডকে ‘বিজয়ের ভূমি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। বলেন, ‘আজ আমরা স্নেক আইল্যান্ডে আছি। এটি ইউক্রেনের এমন একটি দ্বীপ যা কখনই দখল করা যাবে না। কারণ ইউক্রেন হলো বীর ও সাহসীদের দেশ।’

ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি আরও বলেন, রাশিয়ার হাতে দখল হওয়া এলাকাগুলো একটু একটু করে ফিরিয়ে নেবে ইউক্রেন। স্নেক আইল্যান্ডই তারই প্রমাণ। তার কথায়, ‘বিজয়ের এই ভূমি থেকে আমি আমাদের প্রত্যেক সেনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’   

]]>

from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/TfqQD8B
via IFTTT