বরশল মখ টরচ নয় দকন চর আতঙক নগরবস

সিরিজ চুরির ঘটনা ঘটছে বরিশালে। গত এক মাসে মুখে টর্চ নিয়ে চোর নগরীর কমপক্ষে ৪০টি দোকানে চুরি করেছে। সিসিটিভির ফুটেজে চুরির ঘটনাগুলো দেখেও প্রশাসনের কচ্ছপ গতির পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। পাশাপাশি চোরের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নগরবাসী।

নগর পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে একজনই এসব চুরি ঘটাচ্ছে। অপরাধী ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।


গত ২০ মে রাত ১ টা।  বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকায় মুখে টর্চ লাইট নিয়ে মিতালী প্লাজার টিন কেটে এভাবেই পরপর ৯টি দোকানে চুরি করে এক যুবক। লুট করে কয়েক লাখ টাকা। তবে থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও এখনও জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।


একই স্টাইলে এমন চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে নগরের সিকদারপাড়া, করিম কুটির, আমতলার মোড়, সিএন্ডবি রোড, জেলাখানা মোড় এলাকায়। গত একমাসে চুরি হয়েছে কমপক্ষে ৪০টি দোকানে। 


ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিরিজ চুরিতে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।


নগরীর শিকদার পাড়া এলাকার ভুক্তভোগী আলম ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই  থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তারা। তারপরও এখনও কাউকে আটক করেনি পুলিশ। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে।


আরও পড়ুন: বরগুনায় চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলেন ২ যুবক


টিটিসি এলাকার ভুক্তভোগী শাকিল বলেন, টিটিসি কলেজের সামনের মতো একটি জায়গায় চুরি হয়েছে তাও টিন কেটে। সিসি ক্যামেরায় চুরির সঙ্গে জড়িতের চেহারা দেখা গেছে। এসব ভিডিও থানায় জমা দেয়ার পরও পুলিশ অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি।


ফরেস্টার বাড়ির পোল এলাকার দোকানদার আসিফ বলেন, একই দিন একসঙ্গে ১১ টি দোকানের টিন কেটে মুখে লাইট দিয়ে এক যুবক চুরি করেছে। এ চক্রের সদস্যদের কবে আইনের আওতায় আনা হবে। নাকি শুধু অভিযোগ দিয়েছি তাতেই শেষ। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে এটাই দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।


সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, সবগুলো চুরি একজনই করেছে। দ্রুত এই চক্রকে খুঁজে বের করার কথা জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম।


এর আগে গত ৬ এপ্রিল বগুড়া রোডে মোবাইলের দোকানে মাত্র ৫৪ মিনিটে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মোবাইল চুরি করে একটি চক্র। এ নিয়ে গত এক বছরে নগরী ও জেলার প্রায় দেড় শতাধিক দোকানে বিভিন্ন স্টাইলে চুরির ঘটনা ঘটে।

]]>

from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/MA8h6Ku
via IFTTT

Comments

Popular posts from this blog