বযট ছতর দপর তম মতযবরষকত সমরণসভ
এ ঘটনায় হাসপাতালে ৮৪ দিন কোমায় থাকার পরে একই বছরের ২ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন দীপ। এরপর থেকে ২ জুলাই কে ‘শহীদ আরিফ রায়হান দীপ দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এ উপলক্ষে রোববার (২ জুলাই) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে ভার্চুয়াল স্মরণসভা ‘স্মরণে দীপ’ আয়োজন করা হয়।
ভার্চুয়াল স্মরণসভায় বক্তব্য দেন বুয়েটের সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, মনিরুজ্জামান সরকার মোহন, কাজী খায়রুল বাশার, হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদ, মনিরুজ্জামান মনির, অমিত কুমার চক্রবর্তী, তানভীর হাসান তালাশ, আবু হাসান শাহরিয়ার, রনক আহসান, তানভীর মাহমুদুল হাসান, জয় প্রকাশ, আরিফুর রহমান, আবু সাইদ কনক, খন্দকার জামি উস সানি প্রমুখ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, তিন বছর আগে নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় নিম্ন আদালত ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যে আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার সম্ভব হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সদিচ্ছার জন্য। কিন্তু একুশ বছর আগে ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার দুই আসামি ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার মুকি ও টগর এখনো পলাতক।
এছাড়া দশ বছর আগে নিহত বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা আরিফ রায়হান দীপ হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার এখনো অধরা। দিপের হত্যাকারী আসামি মেজবাহ উদ্দীন বুয়েট থেকে বহিষ্কৃত ও পলাতক হলেও কীভাবে বুয়েট থেকে পাশ করার সার্টিফিকেট তুলে নিয়েছে- এগুলো খতিয়ে দেখা দরকার।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণসভা
বক্তারা আরও বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে সামাজিক চাপের পাশাপাশি মামলার আইনি লড়াইয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষেরও সহযোগিতা ছিল। কিন্তু সাবেকুন নাহার ও আরিফ হত্যাকাণ্ডের আইনি লড়াইয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। তবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আবরারের পরিবারের মতো সনি ও দিপের পরিবারের পাশে এগিয়ে এসেছে। এই দুই পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হচ্ছে। সনি ও দিপ হত্যা মামলা পরিচালনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে বলে ঘোষণা দেয়ায় বক্তারা বুয়েট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এছাড়াও দীপ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সম্পন্ন করার দাবি জানান বক্তারা।
এ বিষয়ে দীপের পিতা আজম আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াই ছিল দীপের একমাত্র অপরাধ। আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
উল্লেখ্য, আরিফ রায়হান দীপ বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং বুয়েট ছাত্রলীগের তৎকালীন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১৩ সালে শাহবাগ চত্ত্বরে অভূতপূর্ব আন্দোলন গড়ে তোলা গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন আরিফ রায়হান দীপ।
দীপ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হেফাজত কর্মী মেজবাহউদ্দীনকে গ্রেফতার করা হলেও আদালতে অপ্রকৃতস্থ হবার ভান করে জামিন নিয়ে সে পালিয়ে যায়। আদালতের খাতায় অপ্রকৃতস্থ ও পুলিশের খাতায় মেজবাহউদ্দীন পলাতক হলেও অনুসন্ধানে জানা গেছে যে সে বিয়ে করে পরিবারসহ দেশেই রয়েছে।
from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/JX2jG1Y
via IFTTT
Comments
Post a Comment