সদর টক দত ন পরয় সতরক নরযতন অপমন সবমর আতমহতয
রোববার (৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পাররানীরপাড়া গ্রামে আব্দুল মালেকের শয়নকক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ফুটবল মাঠের তুচ্ছ ঘটনায় যুবক খুন
ঘটনার দিন সকালেই মৃত মালেকের স্ত্রী রিমা বেগম বাদী হয়ে গাবতলী থানায় আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলা করেন। পরে দুপুর আড়াইটা নাগাদ অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ী গোলজার রহমানকে গ্রেফতার করে গাবতলী থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে মালেকের স্ত্রী রিমা দেড়ভরি স্বর্ণ, ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্ক চেক বন্ধক রেখে চড়া সুদে গোলজার কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকা ঋণ নেন। পরে সুদে আসলে সে টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় লাখ টাকায়। ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সদলবলে গৃহবধূ রিমাকে গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে আটকে রাখে গোলজার। সেখানে রাত ২টা পর্যন্ত রিমার ওপর নির্যাতন চালায় গোলজার।
একপর্যায়ে গোলজারের লোকজন মালেকের বাড়িতে গিয়ে টাকা না পেলে রিমার সম্ভ্রমহানীর হুমকি দেয়। খবর পেয়ে মাঝরাতেই রিমার বাবা নগদ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে রিমাকে ছাড়িয়ে আনেন।
এদিকে এ অপমান সহ্য করতে না পেরে শনিবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজ শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে আব্দুল মালেক।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রাইভেট কারচাপায় প্রাণ গেলো মা-মেয়ের
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, মালেকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা পরপরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালাতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/5cT9Utf
via IFTTT
Comments
Post a Comment