বজর চড ঝক নয শষ দখত চন করতর
বিক্রেতারা বলছেন গো-খাদ্যের দাম ও পরিবহনে অনেক খরচ বাড়ায় পশুর দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাম কমে কি না, দেখতে চান ক্রেতারা।
সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে ছোট-বড় পরিবহনে করে হাটগুলোতে গরু ও ছাগল নিয়ে আসছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। পছন্দ করে কাঙ্ক্ষিত পশু কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সব ধরনের গরু থাকলেও মাঝারি আকারের চাহিদাই বেশি।
ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি
রাজধানীার বিভিন্ন হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম বেশি। বিশেষ করে ছোট গরুর দাম চড়া। তবে শেষের দিকে দাম কিছুটা কমার আশা তাদের।
গাবতলীর হাটে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে গরু কিনতে এসেছেন ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি গরুর বাজার যাচাই করতে আসছি মূলত। এবার গরুর দাম অনেক বেশি। সেই তুলনায় ক্রেতা কম। অনেকে অনলাইনেও গরু কিনছেন।’
কেমন গরু দেখলেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘হাটে অনেক বড় বড় গরু আসছে। আমার আগ্রহ আছে এমন গরু কিনবো।’
আরও পড়ুন: হাটে নেই কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার দেখা, দুশ্চিন্তায় খামারিরা
সময় সংবাদের কথা হয় আরেক ক্রেতা শেখ নেহালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখন গরু বিক্রেতারা অনেক বেশি দাম চাচ্ছেন। যারা কিনতে আসছেন দাম শুনে তারাও এখন আর কিনছেন না। পরে কেনার কথা ভাবছেন। কারণ, এখন দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। আবার অনেকে গরু কিনে রাখার জায়গা না থাকায় আগে থেকে গরু কিনছেন না। ঈদের দু-এক দিন আগে এসব গরুর দামই অনেক কমে যাবে। তখন মানুষ কিনবে।’
দাম কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হাটে পর্যাপ্ত গরু আছে। ইন্ডিয়া থেকেও বর্ডার পার হয়ে গরু ঢুকছে। সে হিসেবে গরুর দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। প্রতিবার হাটের সবচেয়ে বড় গরুটাই আমরা কেনার চেষ্টা করি। গতবারও ‘বগুড়ার ডন’ গরুটা আমরা কোরবানি দিয়েছি।’’
বেচাকেনা বাড়লে কমতে পারে দাম
মোহাম্মদপুর থেকে গাবতলীর হাটে গরু কিনতে আসা আরেক ক্রেতা জহিরুল ইসলাম। তার সঙ্গে সময় সংবাদের কথা হলে তিনি বলেন, ‘এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গতবার যে গরুর দাম ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এবার সে গরুর দামই চাচ্ছে ২ লাখ ৬০-৭০ হাজার টাকা। প্রায় দ্বিগুণ। তাই এখনও কেনা হয় নাই গরু। তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দাম অনেক কমে আসবে। তখন ক্রেতার সংখ্যাও এখনকার তুলনায় অনেক বাড়বে।’
আরও পড়ুন: গাবতলীর হাটে শাকিব খান, নেইমার ও মেসি
দাম বেশির কারণ মূলত ক্রেতার স্বল্পতা। ক্রেতা যখন আসা শুরু করবে, তখন দামটাও কমে আসবে। বেচাকেনা শুরু হলে চাহিদা অনুযায়ী দামটা সহনীয় হবে। এছাড়া এখন অনলাইনেও গরু কেনাবেচা হচ্ছে। তবে অনলাইনের চেয়ে অফলাইনে গরু কেনা ভালো বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
কেন দাম চড়া
বিক্রেতারা বলছেন, গরু লালন-পালনে খরচ এখন অনেক বেড়ে গেছে। গোখাদ্য এবং তাদের চিকিৎসার পেছনে অনেক খরচ হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীতে গরু নিয়ে আসতেও তাদের অনেক খরচ পড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন হাটে ওঠানোর পর গরু বিক্রি হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের অনেক খরচ পড়ে। এসব মিলে তাদের এবার গরুপ্রতি বেশি দাম চাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি কোরবানির হাটে আসছে বিশাল আকারের সব গরু। বড় আকারের গরু কমবেশি দেখা মিলছে নগরীর প্রায় সব হাটেই।
তবে দূরত্ব অনুযায়ী একেকটি গরু ঢাকায় আনতে ব্যয় হচ্ছে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। সঙ্গে যোগ হচ্ছে থাকা-খাওয়ার ব্যয়। কিন্তু কয়েকদিন পার হলেও অনেকেই দেখছেন না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার মুখ।
আরও পড়ুন: জেলা পর্যায়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
দিয়াবাড়ির হাটের খামারিরা বলেন, ‘ট্রাকে করে পশু নিয়ে আসতে প্রচুর খরচ হচ্ছে। এছাড়া থাকা-খাওয়ারও খরচ রয়েছে। কিন্তু হাটে ক্রেতা নেই। যা-ও দু-একজন আসছেন; বড় গরু দেখে দাম শুনে চলে যাচ্ছেন।’
বড় গরু পালনে ব্যয় বেশি হলেও হাটে দিনভর দরদামে বিমুখ ক্রেতারা। তারা বলেন, বড় আকারের গরুর দাম অনেক বেশি, যা নাগালের বাইরে।
এদিকে সব হাটেই হতাশা থেকে মুক্ত ছোট আকারের পশু বিক্রেতারা। যদিও প্রত্যাশিত দাম নিয়ে তারাও আছেন অস্বস্তিতে। ঊর্ধ্বমুখী বাজারে পশুর দাম বেশি, সেটি মেনেও নিচ্ছেন অনেকে ক্রেতা।
আরও পড়ুন: যশোরে কোরবানির পশুর হাটে হবে ‘ক্যাশলেস’ লেনদেন
বিক্রেতারা বলেন, ‘ছোট গরুর দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রেতারা এদিকে বেশি ঝুঁকছেন। তবে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত দাম।’ আর ক্রেতারা বলেন, ‘এবার ছোট গরুর দামও বাড়তি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে।’
তবে দেশে কোরবানির পশু চাহিদার তুলনায় বেশি রয়েছে। এ অবস্থায় ক্রেতা-বিক্রেতারা দর কষাকষি করে সর্বোচ্চ লাভবান অবস্থায় থাকতে চাইছেন। বেশিরভাগ ক্রেতা ঝুঁকি নিয়ে শেষ সময় পর্যন্ত দাম কমে কি না তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মতে, চলতি বছর ঈদুল আজহায় দেশে পশুর চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৯৫ হাজার। তবে প্রস্তুত করা হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার পশু।
]]>
from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/dJcTQqK
via IFTTT
Comments
Post a Comment