তল আন হল টইটনর ধবসবশষ

আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে তুলে আনা হয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে বিস্ফোরিত হওয়া সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। বুধবার (২৮ জুন) সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ পানির ওপর তুলে নিয়ে এসেছে মার্কিন কোস্ট গার্ড।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদন মতে, এদিন বিধ্বস্ত সাবমেরিন টাইটানের বেশিরভাগ অংশই পানির নিচ থেকে তুলে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে সমুদ্র উপকূলে আনা হয়।

 

সাবমেরিনের পেছনের অংশও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আশা করা হচ্ছে, যে ত্রুটির কারণে সাবমেরিনটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা খুঁজে বের করতে এই ধ্বংসাবশেষ সাহায্য করবে।

 

আরও পড়ুন: আটলান্টিকে নিখোঁজ টাইটান, ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: জীবনের মূল্য কোথায় বেশি

 

গত ১৮ জুন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরই নিখোঁজ হয় ওশানগেট কোম্পানির সাবমেরিন টাইটান। মূলত রওনা হওয়ার পরপরই এটা বিস্ফোরিত হয়।

 

চারদিনের অনুসন্ধানের পর গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় মার্কিন কোস্ট গার্ড। সাবমেরিনটিতে একজন পাইলট ও ওশানগেটের প্রধান নির্বাহীসহ মোট পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। বিস্ফোরণে সবার মৃত্যু হয়েছে।

 

কেন এবং কীভাবে সাবমেরিন টাইটান ধ্বংস হয়, সে ব্যাপারে মার্কিন কোস্ট গার্ড আগেই বলেছে, সমুদ্রের তলদেশে ডুবোযানটি পানির অস্বাভাবিক চাপ নিতে পারেনি। এ কারণেই ভয়ঙ্কর অন্তর্মুখী বিস্ফোরণের কারণে মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই ডুবোযানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

 

আরও পড়ুন: টাইটান যাত্রীদের বেশি যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হয়নি: বিশেষজ্ঞ

 

বিষয়টির সত্যতা মেলে মার্কিন নৌবাহিনীর বক্তব্য থেকেও। বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, টাইটান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই বিস্ফোরণের মতো শব্দ শনাক্ত করা হয়েছিল। এমনকি সে খবর তারা যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডকে দ্রুত জানিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু শব্দ শনাক্ত হওয়ার এ তথ্য আগে কেন প্রকাশ্যে বলা হয়নি, তা স্পষ্ট নয়।

 

 

 

]]>

from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/SvHioFN
via IFTTT

Comments

Popular posts from this blog