জয়র পর নয় আম এখনই কজ শর করছ

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই শিক্ষক। সময় সংবাদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তার সুর্দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মাকাণ্ড তুলে ধরার পাশাপাশি নির্বাচনে জয় পেতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাওয়ার পরই রাজনৈতিক মহলে কথা উঠেছে তিনি নতুনমুখ। যদিও ২০০৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সাথে থাকার কথা জানিয়ে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, 

আমি কার্যনির্বাহী কমিটিতে আসার আগেও আমি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার জন্য কাজ করেছি। কিন্তু কখনও ওইগুলো প্রকাশ করিনি। ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সময় থেকে আমি জনসংযোগ করতাম। সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় কম্বল বিতরণ, বন্যার সময় সাহায্য করেছি। ফলে যারা ভাবছে আমি নতুন, আমি আসালে নতুন না। বহু আগে থেকেই কাজ করছি। দেশের জন্য করেছি, মানুষের জন্য করেছি।


তিনি বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হতে না পারলেও অনেক কাজ করতে পারব আওয়ামী লীগের জন্য। সেই যোগাযোগ এবং সক্ষমতা আমার হয়েছে। আমি হয়তো ট্রেডিশনাল রাজনীতি কখনও করিনি, কিন্তু সবসময় ছিলাম। আমি কাজ দিয়ে সমাজের পরিবর্তন আনতে চেয়েছি। রাজনীতির সবকিছুই আমি করেছি, কিন্তু কোনো পদ-পদবি নেইনি; শিক্ষকতা করেছি। আমি পুরো বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছি। তৃণমূলের সরাসরি রাজনীতি আমি করেছি। মানুষের সাথে মেশার যে রাজনীতি সেটি আমি করেছি।’


নির্বাচনে প্রতিপক্ষ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই ওই বিষয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, ‘এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি ফোকাস করছি নৌকাকে, আওয়ামী লীগকে। এখানে আমার প্রতিপক্ষ কারা আছেন তাদের নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। ভোটাররা যাকে পছন্দ করবে, ভালো মনে করবে তাকেই ভোট দেবে। ফলে আমার মূল কাজ এখন ভোটারদের যে সমস্যাগুলো আছে তার সমাধানের রাস্তা বের করা।’

 

আরও পড়ুন: বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয়: অধ্যাপক আরাফাত


নির্বাচনে জয়ের পর এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, 

জয়ের পর না, আমি কাজ শুরু করেছি। কোথায় কোথায় সমস্যা আছে তা আমি সংগ্রহ করছি। যদিও সব জায়গায় নিজের যাওয়ার সুযোগ হয়নি, যেখানে যেতে পারিনি, সেখানে লোক পাঠিয়েছি। রাস্তাঘাটের অবস্থা, পানির সমস্যা, বিদ্যুতের সমস্যা, গ্যাস সমস্যা- এমন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত যারা আছেন সেগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তা করছি। বস্তিবাসীদের কথা আলাদাকরে ভাবছি। তাদের বস্তি থেকে কিভাবে বহুতল ভবনে হস্তান্তর করা যায় তা নিয়ে কাজ করব।


তিনি বলেন, ‘সব তো একদিনে করা সম্ভব না। পাঁচ মাসের মধ্যে দিনকে রাত, রাতকে দিন করা সম্ভব না। ফলে কাউকে মিথ্যা আশ্বাসও দিচ্ছি না আমি। তবে যতটুকু সম্ভব সেটা করব। ’


‘নির্বাচিত হবো এমন কোনো কথা নেই, নাও হতে পারি। কিন্তু হারার পরও আমি এলাকাবাসীর পাশে থাকব,’ যোগ করেন নৌকার এই প্রার্থী।


উপনির্বাচনে ভোটার টানা কঠিন হবে কি না? জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, ‘ভোটারদের মধ্য আগ্রহ একেবারে কম নেই। সিটি নির্বাচনে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। যদিও সময় কম আমাদের। তবুও ভোটারদের আগ্রহ আছে। আমরা উদ্বুদ্ধ করছি। আমাদের কাজ হলো, কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করে ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে নিয়ে আসা।’


‘এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া, ভোটারদের কেন্দ্র খুঁজে পেতে সহায়তা করা, বৃদ্ধ ভোটারদের অগ্রাধিকার দেয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এসব নিয়ে আমি কাজ করছি’, বলেন মোহাম্মদ এ আরাফাত।

 

আরও পড়ুন: ফারুকের আসনে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত


ইভিএম না ব্যালেট প্রশ্নে ইভিএমের পক্ষে থাকার কথা জানালেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ইভিএম মেশিন পৃথিবীর কোথাও নেই। এটা ইউনিক, উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন। এই মেশিন ভোটারকে আগে পরিচয় নিশ্চিত করে। পৃথিবীর অন্য দেশের ইভিএম হচ্ছে ভোট গণনা মেশিন।’


তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মেশিন দিয়ে ভোট দেয়ার সময় বা আগে-পরে যে সমালোচনা হয় তা সমাধান করা যেতো। প্রযুক্তি দিয়ে সব সমাধান করার সুযোগ আছে। ৬০ ভাগ ইতিবাচক, যেগুলোর সমন্বয় সুন্দরভাবে করলে মানুষের আস্থা তৈরি হবে, সুন্দর ভোট হবে। কিন্তু আমাদের দেশের গবেষক বা বুদ্ধিজীবীরা ওই ৪০ ভাগের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে বলে, এটা কোন কাজের না।’


আমরা চাই একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন—যেটা নিয়ে কোনও ধরনের বিতর্ক থাকবে না।

 

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আর একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম  ‘একতারা’ প্রতীক পেয়েছেন। এ ছাড়া এই আসনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন (ডাব), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন (ছড়ি), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল) ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ)।


আগামী ১৭ জুলাই ব্যালট পেপারের মাধ্যমে এই আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

]]>

from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/x7STFQO
via IFTTT

Comments

Popular posts from this blog