পকসতন জতয় শক মনব পচরকরদর গরফতর অভযন

গত সপ্তাহে গ্রিসের উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের জন্য জাতীয় শোক পালন করেছে পাকিস্তান। ওই নৌকাডুবিতে বহু পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে মর্মান্তিক ওই ঘটনায় জড়িত মানব পাচারকারীদের ধরে দেশজুড়ে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। খবর ডন।

গত সপ্তাহে (১৪ জুন) গ্রিস উপকূলে অতিরিক্ত বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। নৌকাটিতে প্রায় ৭৫০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল। এর মধ্যে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। নিখোঁজ হয় আরও কয়েকশ’ মানুষ। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১০৪ জনকে। বাকিদের এখনও খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

নৌকাডুবি থেকে যারা বেঁচে ফিরেছেন তাদের দেয়া প্রথমিক তথ্য মতে, নৌকায় অন্তত ৪০০ জন পাকিস্তানি, ২০০ মিশরীয় এবং বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুসহ ১৫০ জন সিরীয় নাগরিক ছিল। গত শনিবার (১৭ জুন) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ১২ জন পাকিস্তানিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকীরা এখনও নিখোঁজ রয়েছে এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

রোববার (১৮ জুন) পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একদিনের শোক ঘোষণা করেন। বলেন, সোমবার (১৯ জুন) জাতীয় শোক পালন করা হবে। এছাড়া জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন এবং এর সঙ্গে জড়িত মানব পাচারকারীদের খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশ দেন।

 

আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে ৬৮ ডুবন্ত যাত্রীকে উদ্ধার করল রুশ যুদ্ধজাহাজ

 

নির্দেশনার পরপরই দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে পাক নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (১৮ জুন) পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানায়, পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে ৯ জনকে ও পাঞ্জাবের গুজরাট শহর থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

এদিকে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটল, তা নিয়ে চলছে জোর বিতর্ক। এ ঘটনার জন্য গ্রিসের কোস্ট গার্ডকে অভিযুক্ত করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রিস বরাবরই অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের তাদের জলসীমা থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছে। আরও অভিযোগ, সাহায্য চাওয়া সত্ত্বেও তারা ওই জাহাজটিকে সাহায্য করেনি।

 

বিবিসি জানিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনাটি নিয়ে তারা এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে, যার সঙ্গে গ্রিসের কোস্টগার্ডের ভাষ্য মেলে না। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ভূমধ্যসাগরের যে এলাকাটিতে নৌকাটি ডুবে যায়, সেখানকার অন্যান্য নৌকার গতিবিধি বিশ্লেষণ করেছে তারা। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অতিরিক্ত অভিবাসনপ্রত্যাশী বোঝাই মাছ ধরার নৌকাটি ডুবে যাওয়ার আগে অন্তত সাত ঘণ্টা সাগরে ভেসেছিল। তবে চলছিল না।

 

আরও পড়ুন: গ্রিসের শরণার্থী নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৫০০

 

তবে কোস্টগার্ড দাবি করছে, ওই সময় নৌকাটি চলছিল। সেটা ইতালির পথে যাচ্ছিল। উদ্ধারের কোনো প্রয়োজন সে সময় ছিল না। গ্রিসের কোস্ট গার্ডের এক ক্যাপ্টেন নাম প্রকাশ না শর্তে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা দড়ি দিয়ে নৌকাটিকে বাঁধার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নৌকার লোকেরা তাতে রাজি হয়নি। নৌকাডুবি নিয়ে বিবিসির অনুসন্ধানের কোনো প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত জানায়নি গ্রিসের কর্তৃপক্ষ।

]]>

from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/EbBxmH0
via IFTTT

Comments

Popular posts from this blog