অযশজর ততয় দন বষটর

ইংল্যান্ডের বাজবল আর অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যগত টেস্ট লড়াইয়ের উত্তেজনার মাঝে বৃষ্টির হানায় ভেস্তে গেছে তৃতীয় দিনের প্রায় দুই সেশনের খেলা।

এজবাস্টনে রোববার (১৮ জুন) কেবল ৩২.৪ ওভারের খেলা হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিতে মাঠ ভিজে পানি জমে যাওয়ায় বাকি সময়ের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে আম্পায়াররা।

 

অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩১১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল অজিরা। রোববার তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে দলের খাতায় আর ২৭ রান যোগ হতেই অ্যালেক্স ক্যারির উইকেট হারায় তারা। ৯৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৬৬ রান করে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে বোল্ড হয়ে যান ক্যারি। তাতে উসমান খাজার সঙ্গে ভেঙে যায় ১১৮ রানের জুটি।

 

আরও পড়ুন: বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়ে

 

সপ্তম উইকেট জুটিতে আরও ৩৮ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছাড়িয়ে যেতে তখনও তাদের দরকার ছিল ২২ রান। কিন্তু এবার বিদায় নেন সেঞ্চুরিয়ান খাজা।

 

বেন স্টোকস দ্বিতীয় দিনের মতোই ফের ওলটপালট করে সাজান ফিল্ডিং। আঁটসাঁট ফিল্ডিং সাজিয়ে বল তুলে দেন রবিনসনের হাতে। আর তা কাজ করে ম্যাজিকের মতো। রবিনসনের প্রায় ইয়র্কার লেন্থের বল খাজার ব্যাট গলে সোজা উড়িয়ে দেয় স্টাম্প। ৩২১ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে ১৪১ রানে থামেন খাজা।

 

এরপর আর বেশিক্ষণ টেকেনি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। কামিন্স চেষ্টা করেছিলেন টেনে নিতে, কিন্তু ৩৭৭ রানে লায়ন ও ৩৭৮ রানে বোল্যান্ড ফিরে যান। লায়নকে ফেরান রবিনসন, বোল্যান্ডকে ব্রড। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৩৮ রান করে আউট হলে ৩৮৬ রানে থামে অজিদের ইনিংস। তাতে ৭ রানের লিড পায় ইংলিশরা।


ইংল্যান্ডের পক্ষে স্টুয়ার্ট ব্রড ও রবিনসন ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। মঈন আলি পান ২ উইকেট। বাকি দুই উইকেট ভাগাভাগি করেন অ্যান্ডারসন ও স্টোকস।

 

আরও পড়ুন: পেস ও স্পিনে সমান দক্ষ জাকির: হাথুরুসিংহে

 

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট ৬.৫ ওভার মোকাবিলায় তুলে নেন ২৬ রান। এরপরই হঠাৎ এজবাস্টনে বৃষ্টির হানা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর খেলা আবার মাঠে গড়ায়। তখন আর ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি ক্রাউলি-ডাকেট। তিন বলের ব্যবধানে দুজনে সাজঘরে ফিরেছেন বোল্যান্ড ও কামিন্সের শিকার হয়ে। ডাকেট ২৮ বলে ১৯ ও ক্রাউলি ২৫ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছেন।

 

ক্রিজে নামে দুই নতুন ব্যাটার ওলি পোপ ও জো রুট। পোপ ২ বল ও রুট ৮ বল মোকাবিলা করলেও কোনো রান তুলতে পারেনি। এর মাঝে আবারো বৃষ্টির হানা। এবার অনেক্ষণ অপেক্ষা করেও আর লাভ হলো না। মুষলধারে বৃষ্টিতে মাঠ ভরে যায় পানিতে। অনেকক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর তৃতীয় দিনের বাকি সময়ের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

]]>

from somoynews.tv | RSS Feed https://ift.tt/2ldcT9D
via IFTTT

Comments

Popular posts from this blog